আমি পূজামণ্ডপে “ইসলামী” গান গেয়ে “ইসলামের” দাওয়াত দেয়াটাকে পজিটিভলি দেখি। কারণগুলো বললে সবাই বুঝতে পারবেন –
১) আসমান-জমিনে যা কিছু আছে, সবই আল্লাহর সৃষ্টি। পূজামণ্ডপও আল্লাহর সৃষ্টি। সুতরাং সেখানে আল্লাহর সৈনিকরা গান গাইবে না তো গান গাইবে তাগুতের সৈনিকরা?
২) দেশে ধর্মের ভিত্তিতে একটা সংখ্যালঘু বৈষম্য আছে। এ বৈষম্য দূর করার সবচেয়ে সহজ উপায় হলো সবাই মুসলমান হয়ে যাওয়া। অনেকেই সেটি বুঝতে না পেরে এখনো সংখ্যালঘু হয়ে বসে আছেন। অনেক সাফার করছেন। তারা যদি দাওয়াতের পথে আসেন, তাহলে সহজেই সংখ্যাগুরু হিসেবে নাম লেখাতে পারবেন। তাদেরকে পথ দেখানোর জন্য গান গাওয়া কি অন্যায়?
৩) বিশ্বের সবচেয়ে প্রভাবশালী “মুসলমান”দের একজন হলেন আমাদের সবার প্রিয় বেনামাজি সুদের ব্যবসা করে নোবেল বিজয়ী ড. ইউনূস স্যার। তিনি সম্প্রতি বলেছেন, ধর্ম যার যার, উৎসব সবার। সুতরাং দুর্গাপূজা উৎসবের পূজামণ্ডপও সবার। সেখানে হিন্দুরা কীর্তন গাইলে মুসলমানরা ইসলামী সঙ্গীত কেন গাইতে পারবে না? আপনি কি ড. ইউনূসেত্তে বেশি বুজেন?
৪) অনেকে প্রশ্ন তুলছেন, মুসলমানদের ঈদগাহে কি এভাবে হিন্দুদেরকে কীর্তন গাইতে দেয়া হবে? আমি বলি কি, অবশ্যই গাইতে দেয়া হবে। তবে হিন্দুদেরকে ঈদগাহ পর্যন্ত যাইতে দেয়া হবে কি না, সেটা ভিন্ন প্রশ্ন। মুসলমানরাতো সংখ্যালঘু না। সুতরাং তাদেরকে চিড়িয়াখানার পশুপাখির মতো সিকিউরিটির অজুহাতে পাহারাও দিতে হিন্দু লাগবে না। হিন্দুরা ঈদগাহের কাছে ভিড়বে কিভাবে?
৫) কেউ কেউ আবার ভাবছেন, এরাই ফতোয়া দেয় ইসলামে গান গাওয়া হারাম। আবার এরাই গান গেয়ে দাওয়াত দেয়। তারাও ভুলের স্বর্গে থুক্কু জান্নাতে আছেন। গান গাওয়া হারাম হলেও ইসলামী গান আরাম। মানে ওই আর কী! ছাত্রলীগ যেমন হারাম, ছাত্রলীগে শিবির ঢুকলে সেটা আরাম।
যতো যা-ই বলেন ভাই, আমি এই ঘটনায় খারাপ কিছু দেখছি না। ড. ইউনূস স্যারের মেটিকুলাস প্ল্যানে গড়া রিসেট বাটন পুশের পরের বাংলাদেশ এটি। লাইনে আসুন, ভালো থাকুন।
এটিমের বক্তব্য:
আমরা উপরের বক্তব্যের সঙ্গে একমত নই।
#ATeam 20241027