লেখাটি আমি আপাতত শুরু করতে চাই ২০২৪ এর ২৬ আগস্ট থেকে। কারণ ওইদিন একটি ঘটনা হয়। সেই গল্পটা যত বড়, তা নিয়ে মানুষের জানা শোনা তত বড় নয়। অথচ, ওই দিন ঢাকার সবখানে দাপিয়ে বেড়াচ্ছিল বিবিসি আল-জাজিরার দল। কথিত বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে দালাল আখ্যা পেয়ে সিটিয়ে থাকা মিডিয়াগুলোর কথা না হয় বাদ দিলাম। কিন্ত বিপ্লবী প্রথম আলো, ডেইলি স্টার, সমকালেও ওই ঘটনার কোন বিশ্লেষণ হয়নি। ঘটনাটি প্রথম দিনে খুব দায়সারা গোছের একটা ছবি আরেকটা সাধারণ খবর দিয়ে প্রকাশ হয়। দ্বিতীয় দিন থেকেই ব্লাক আউট। অথচ সেই ঘটনায় ‘কোমলমতি’ খ্যাত আন্দোলন কর্মীরা একজন দু’জন নয় ১৩৪ জন নিখোঁজ মানুষের তালিকা করেছিল।
আরো মজার ব্যাপার ওই ২৬ আগস্টেও ঢাকায় কাজ করছিল জাতিসংঘের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং দল। তারাও সেই ঘটনার কোন প্রতিক্রিয়া প্রকাশ করেনি। ভূমিকা একটু দীর্ঘ হয়ে গেলো। এবার ঘটনায় আসি। আসলে সেদিনের বিকেলে ঢাকার খুব কাছে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ এলাকায় সাবেক পাট মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজীর মালিকানাধীন রপ্তানিমুখী টায়ার কারখানা গাজী টায়ারে আগুন ধরিয়ে দেয় আজকের কথিত বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের সমর্থকরা। এলাকার লোকজন সবাই তাদের চেনে। এরা কেউ ভ্যান রিকশা চালক কেউ দিন মজুর, আবার কেউ ভবঘুরে। কিন্ত এই ঘটনায় লুটেরা হয়ে গিয়েছিল। বলা ভালো, তারা কারো নির্দেশে গাজী টায়ারে লুট করতে গিয়েছিল। আর সেই নির্দেশ দাতারা ছিল গোলাম দস্তগীরের রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ।
৫০ একর জমির ওপর প্রতিষ্ঠিত ওই কারখানা লুট করতে রীতিমতো ট্রাক নিয়ে গিয়েছিল তারা। প্রত্যক্ষদর্শীদের বর্ননা অনুযায়ী, লুটের এক পর্যায়ে ঝামেলা হয় তাদের মধ্যে। কে কোনটা নেবে সেটা নিয়েই মূলত বিরোধ তৈরি হয়। মুহূর্তেই দুই গ্রুপ হয়ে যায় তাদের। এক গ্রুপ ৬ তলা কারখানা থেকে নিচে নেমে আসে। বাকিদের ভেতরে রেখে আগুন ধরিয়ে দেয়। ভেতরে আটকে পড়ে লুটেরাদের দ্বিতীয় গ্রুপ। এর কিছুক্ষণ পর থেকে বাতাসে ভাসতে থাকে মাংস পোড়ার উৎকট গন্ধ।
আগুন লাগার পর ২ ঘণ্টা পর্যন্ত ৮/৯ জন ছাদ থেকে লাফিয়ে পড়ে বাঁচতে পারেন। তারা বিভিন্ন গণমাধ্যমে জানান, ভেতরে ৩শ এর বেশি মানুষ আটকে আছে। যারা সবাই মারা গেছে। ওই আগুন জ্বলে টানা ৪৫ ঘণ্টা। পরে বাংলাদেশের ফায়ার সার্ভিস জানায় উদ্ধার কাজ ঝুঁকিপূর্ণ। সেই ঘটনার একমাসের বেশি হচ্ছে, অথচ ওই পোড়া ভবনের ঝুঁকি এখনও কাটেনি। তাই উদ্ধার শুরু কাজ হয়নি। পত্রপত্রিকায় এসেছে ওই ঘটনায় ১৭৪ জন নিখোঁজ। তাদের স্বজনরাই বলেন কারখানার ভেতরে সব পুড়ে মারা গেছে। দীর্ঘ সময়ের আগুনে হাড় পর্যন্ত পুড়ে নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে। আজ পর্যন্ত ওই ঘটনায় কোন সরকারি বিবৃতি আসেনি।
ঘটনার একদিন পর স্থানীয় একজন বিএনপি নেতা সাংবাদিকদের বলেন, তারা চান না বিষয়টি গণমাধ্যমে আসুক। কারণ এতে দেশের শিল্পখাতের ভাবমূর্তি নষ্ট হবে। নিখোঁজদের স্বজনরা প্রথম ক’দিন কারখানার আশে পাশে ভিড় করেছিলেন। পরে সেটাও করতে পারেননি। কারণ ভাবমূর্তি রক্ষাকারীরা পাহারা বসান। নাম না জানিয়ে কয়েকজন স্বজন ফোন করে বলেছেন, তাদের জোরে কাঁদতেও নিষেধ করা হয়েছে। বলা হয়েছে যারা নিখোঁজ, তারা লুট করতে গিয়েছিল। তারা অপরাধী। তাদের স্বজনরাও অপরাধী। সুতরাং কোন রকম ট্যাফো করলেই জেল।
এই মুহূর্তে যেকোন সচেতন মানুষের তিউনিসিয়ার ফল ব্যবসায়ী বু আজিজির কথা মনে পড়বে নিশ্চয়ই । ২০১০ সালের ১১ই ডিসেম্বর তিউনিসে যিনি নিজের গায়ে পেট্রল ঢেলে আগুন দিয়ে আত্মহত্যা করেছিলেন। যার প্রভাবে তিউনিসিয়া তো বটেই আশেপাশের ১৯টা দেশে ক্ষমতার পালা বদল হয়েছিল। তখন থেকে বিশ্ববাসীর কাছে আগুনে পোড়া মানুষের মরদেহ ভীষণ দামি। ভীষণ রকম প্রতিবাদে উৎস এই লাশ। অথচ আমাদের গণ-অভ্যুত্থানেরর পরে, ১৭৪ জনের জীবন্ত পোড়া মরদেহের খবর ঠিকঠাক পৌঁছালোই না মানুষের কাছে!
ভাবমূর্তির মিথ্যা বয়ান দিয়ে সেই পুরো ঘটনা চেপে দেয়া হলো! প্রিয় পাঠক ভাবুন ওই মুহূর্তে ওই খবরটি ছিল সারা পৃথিবীর মানুষের কাছে প্রধান খবর। সেসময় তথ্য বঞ্চিত হলো গোটা বিশ্ববাসীকে। তাই আজকের দ্রুত খবর দেয়ার যুগে, এক মাসের পুরোনো একটি খবর দিলাম। কারণ খবরটি ঠিকঠাক প্রকাশই হয়নি। তার চেয়ে বড় কথা, এটি সাম্প্রতিক বাংলাদেশের হাজারো সত্য চাপা দেয়ার একটি বড় উদাহরণ। আরও বলা যায়, এই ঘটনার মধ্যেই আছে, মিথ্যায় ঢাকা পুরো জুলাই- আগস্টের বাংলাদেশ।
একটু আগে যে বিএনপি নেতার কথা বলছিলাম, তিনিই সাংবাদিকদের বলেন, ” আমি এই কারখানার দায়িত্ব নেবো, দেশের এতবড় ক্ষতি আমি হতে দেবো না” খোঁজ নিয়ে জানা গেছে তিনি একজন শিল্পপতি। এই লুটেরারা তার সমর্থক। আর যারা পুড়ে মরেছে তারাও তার দলের কিন্ত অন্য নেতার সমর্থক। আসলে কারখানাটি দু’জন বিএনপি নেতা দখল করতে চেয়েছিলেন। লুট সেখানে একটা নিমিত্ত মাত্র। আন্দোলনকারীদের যেমন নিমিত্ত ছিল কোটা। মূল উদ্দেশ্য ক্ষমতা দখল। আসলেই পুরো দেশটা এভাবেই মিথ্যাবাদীদের দখলে চলে গেছে।
এই লেখা পড়ে অনেকের মনে হতে পারে আমি বুঝি বাংলাদেশের সাবেক সরকারের ঘোর সমর্থক। সমর্থক কী না সে প্রশ্ন পরে। তার আগে বলি আমি মিথ্যাবাদী নই। সত্য লুকাই না। পাঠকের কাছে আমাকে আসতেই হয়। আমি আমার পাটকদের সব সময় বলি, আমার লেখা যখন পড়বেন তখন ক্লু হিসাবে নেবেন। যাচাই বাছাইয়ের পর বিশ্বাস করবেন। আজকের দিনে পাঠকের হাতেই তো গুগল মামা আছেন। চাইলে যে কেউ জিজ্ঞাসা করে নিতে পারেন। মামার জোরে আমার বিশ্বাস, আজকের প্রযুক্তির বিশ্বে মিথ্যা প্রতিষ্ঠা হয় না। সত্য চেপে রেখে কিছু ক্ষতি করা যায় হয়তো, কিন্ত নিশ্চিহ্ন করা যায় না।
গুগল মামার বিশ্বাসে ভর করে বলি, ২০২৪ এর প্রথম জুলাই থেকে আজ পর্যন্ত বাংলাদেশের যত ঘটনা বিশ্ববাসী জানে তা অর্ধ সত্য। বিশ্ব সভ্যতার জন্যে এটা বেশি ক্ষতিকর। তাই একেবারে ব্যক্তিগত নাগরিক দায় থেকে আমি কিছু তথ্য এবং এর বিশ্লেষণ দিতে চাই। বলতে চাই ৫ই আগস্ট ক্ষমতার পালা বদলের পুরো প্রেক্ষাপট। কারণ একটি ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় আরেকটি ঘটনা আসছে। তার পর আরেকটি ক্রিয়া হয়। এভাবেই চলে ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়ার মিথস্ক্রিয়া। আগামী দিনের জন্যে বিশ্ববাসীকে এই সত্য জানতে হবে।
পুরো ঘটনা বুঝতে গেলে বেশ পেছনে যেতে হবে। শুরু করতে হবে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ থেকে। কারণ মুক্তিযুদ্ধের যে পরাজিত শক্তি, তারাই মূলত ২০২৪ এ ক্ষমতার পালা বদলে নেতৃত্ব দিয়েছে। এরইমধ্যে জামায়াতে ইসলামি নেতারা প্রকাশ্যে স্বীকার করেছেন তারা পূর্ণশক্তি নিয়ে এর সঙ্গে ছিলেন। বিশ্ববাসী জানে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের কথা। কীভাবে সেসময় ৩০ লাখ বাঙালি হত্যা করা হয়েছিল। সবাই এও জানে যে শেখ হাসিনার সরকার ৭১ এর যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করেছেন। এই বিচার প্রক্রিয়ার প্রতিশোধই ২০২৪ সালের ক্ষমতার পালা বদল। ক্ষমতার স্বাভাবিক বদল তারা চাননি। কারণ তাহলে তো এই ঘৃণ্য তাণ্ডব করা যেতো না।
সম্প্রতি আমেরিকায় বাংলাদেশের দখলদার সরকার প্রধান মুখ ফস্কে বলে ফেলেছেন, পুরো আন্দোলনটা ছিল পরিকল্পিত। যার মাস্টার মাইন্ড হিসাবে মাহফুজ নামের এক ছেলেকে পরিচয় করিয়ে দেন। যে নিজেও দেশে বিভিন্ন সময় এই আন্দোলনে তাদের পাঁচ বছরের প্রস্তুতির কথা বলেছে প্রকাশ্যে। তাদের মিথ্যাচারকে এখন কৌশল হিসাবে চালিয়ে দেয়ার চেষ্টা হচ্ছে। কী অদ্ভূত! বিল ক্লিনটন এবং জো বাইডেনের মত মানুষেরা সেই মিথ্যাচারে এখন আপ্লুত। আমি জানি না কী বলবে বিশ্ববাসী?
ড. ইউনূস আন্দোলনের মাস্টার মাইন্ডদের নিয়ে আমেরিকার ভ্রমন করছেন। বলছেন তাদের বীরত্ব গাঁথা। ঠিক একই সময় আরেক মৌলবাদী গোষ্ঠী জামায়াত শিবির প্রচার করছে তারা নিজেরা কত কৌশলী হয়ে আন্দোলনে সফল করেছে। আন্দোলনের আরেক অংশ বিএনপি এই সংগ্রামে তাদের অবদানের কথাও বলছে প্রকাশ্যে। শুধু চুপ আছে মৌলবাদের সঙ্গে মিশে যাওয়া একদল অতি বামপন্থী। অবশ্য চুপ থাকার পুরস্কারও পাচ্ছে তারা৷ এখানে সেখানে দু’একটা কমিটি মেম্বর হচ্ছেন। আর যারা কিছুই পাচ্ছেন না তারা ফেইসবুক কাঁপাচ্ছেন। আজকাল তারা লজ্জা শরম ছেড়ে প্রকাশ্যে বলছেন, তারা কতটা যোগ্য। তাদেরকে ছাড়া সরকার কতটা দুর্বল। এর মাধ্যমে আসলে দ্রুত সত্য প্রকাশ হচ্ছে। পরিস্কার হচ্ছে যাকে বিপ্লব বলছেন সেটা আসলেই মব।
সাবেক সরকারের মন্ত্রী আমলাদের দুর্নীতির মত শেখ হাসিনার সরকারের বহু দুর্বল দিক ছিলো সন্দেহ নেই। তার বিরুদ্ধে সেসব নিয়ে আরও কঠোর আন্দোলন হতে পারতো। কিন্তু মিথ্যার ওপর ভর করে মব সৃষ্টি করতে হলো কেন? তিনি তো সেদিন ছাত্রদের রাজাকার বলেননি। পাঠক আপনারাও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে খুঁজলে পাবেন সেদিনের সেই বক্তব্য। বাংলা বোঝা প্রবীণ মানুষদের নিয়ে আপনারাও সেটা দেখুন, বুঝুন। আপনারাই যোগসূত্র তৈরি করতে পারবেন, কীভাবে সোনার বাংলা মবের মুল্লুক হয়ে গেলো। যে কেউ প্রকাশ্য সেমিনার করতে পারেন এটা নিয়ে। কারণ এটা সারা পৃথিবীর মানুষের কাছে মব সৃষ্টির কলঙ্কিত উদাহরণ হয়ে গেছে এরইমধ্যে।
অথচ আন্দোলনের সমর্থকদের মধ্যে অনেক শিক্ষক ছিলেন যারা সত্যবাদী হিসাবে পরিচিত। অনেক সাংস্কৃতিক কর্মী ছিলেন। তারা কেউ একটা উদ্যোগ নিয়ে দেখলেন না যে, তিনি আসলে কী বলেছিলেন শেখ হাসিনা? আর শিক্ষার্থীরা ওইদিন রাতে কী স্লোগান দিয়েছিলেন? পুরো একটা মব তৈরি গেলো। যে মবের শিকার হলেন প্রমানিত সত্যবাদী শিক্ষক লেখক ড. জাফর ইকবাল। এই শিক্ষক এবং সাংস্কৃতিক কর্মীরা সেই মবের সমর্থন করলেন। জাফর ইকবালের মত মানুষকে খুব ভয়ঙ্কর রকম হেনস্তা করলেন। কারণ সত্য মিথ্যার বাছ বিচার তাদের কাছে তখন ছিল না। তাদের তখন লক্ষ্য সরকার নামাতে হবে। না হলে পালানোর যায়গা পাওয়া যাবে না।
মিথ্যাবাদীরা দিন শেষে পালানোর যায়গা পায় না। মহা ক্ষমতাধর গোয়েবলসকে সবাই ঘৃণাই করে। আজ বাংলাদেশকে যারা মবের মল্লুক বানিয়েছে তাদেরকেও ইতিহাস ক্ষমা করবে না। তাই এদের কাছে ১৭৪ জন মানুষের আগুনে পুড়ে মৃত্যুর প্রতিবাদ আশা করি না।
জুলাই ২৪ এর স্টেক হোল্ডার নামে যেই সামনে আসুক সে মিথ্যাবাদী। তা সে ছাত্রই হোক, শিক্ষক হোক বা সাংস্কৃতিক কর্মী। আমার ব্যক্তিগত বিশ্লেষণে এটা প্রমানিত। ইনিয়ে বিনিয়ে এত কথা লিখলাম কারণ একটাই, আমি চাই এই মিথ্যাচারের কথা বিশ্ববাসী জানুক। তারা সত্য প্রতিষ্ঠার দাবিতে বাংলাদেশের মানুষের পাশে দাঁড়াক। আর আমার প্রিয় পাঠকদের বলি। আপনারা বাংলাদেশের খবর নিন। আমার কথা সত্য মনে হলে এই মিথ্যাচারের গল্প অন্যদেরও জানান।
লেখক:
ভীরু জমাদার, চাকরিজীবী
#ATeam 20241029
In English:
On or after August 26, 2024, Dhaka became a hub of activity, with BBC and Al-Jazeera teams capturing every moment. Yet, oddly, local news giants like Prothom Alo and The Daily Star offered no insights, as if blind to the unfolding chaos. What began with a couple of news stories on the first day quickly escalated into a media blackout by day two. Meanwhile, the silence concealed something much darker—a group of activists reported 134 people missing, and those individuals would soon play a pivotal role in the dramatic power shift of 2024.
In a twist that surprised many, Jamaat-e-Islami leaders openly declared their support for the movement. It wasn’t hard to see this shift as retaliation—a delayed reckoning for Sheikh Hasina’s government, which had, for years, prosecuted those responsible for the atrocities of the 1971 Liberation War, a war in which three million Bengalis were killed. But this time, it seemed, history was rewriting itself. The power shift of 2024 was, to many, revenge for those long-ago trials.
The plot thickened when a member of Bangladesh’s government-in-exile in the U.S. disclosed that the entire movement had been meticulously planned. Mahfuz, a young man now in the spotlight, emerged as the mastermind. In public speeches, he spoke candidly about the five-year preparation that went into organizing the movement. Meanwhile, the Nobel Laureate Dr. Yunus embarked on a U.S. tour, praising the “bravery” of those involved, accompanied by movement leaders. Jamaat Shibir claimed credit for the movement’s success, while the BNP, another political heavyweight, openly acknowledged its role. However, as more facts come to light, it becomes clearer that this wasn’t a revolution at all—it was mob rule, plain and simple.
Let’s be real—Sheikh Hasina’s government wasn’t perfect. Corruption tainted her ministers and bureaucrats. But the movement that took her down had support from some surprising corners—teachers and cultural figures who had, until recently, been bastions of integrity. Yet, in their rush to topple the government, they seemed to lose their moral compass. No one clarified what Sheikh Hasina had actually said or what the students had chanted that fateful night. The result? A mob was born, and one of its tragic victims was the renowned teacher and author, Dr. Zafar Iqbal. He, too, fell to the frenzy that these same intellectuals helped fuel. They became blind in their desire to dismantle the government, losing sight of the truth in their zeal for change.
History has a way of casting judgement, and it will not be kind to those who supported the descent into mob rule. Just as figures like Goebbels are reviled for their lies, those who enabled this violence will not be forgiven for turning Bangladesh into a battleground for chaos. Is it any wonder, then, that these individuals haven’t spoken out about the horrific deaths of 174 people in a fire? A fire, by the way, that could have been prevented. To add insult to injury, a United Nations fact-finding team was right there in Dhaka on August 26, yet they remained silent as if blind to the tragedy.
That same afternoon, supporters of this so-called anti-discrimination movement set fire to Gazi Tire, a factory owned by former jute minister Golam Dastgir Gazi. Located in Rupganj, near Dhaka, the factory was looted by a mob. This was not a crowd of disillusioned protesters or a collective of the oppressed—it was a group of drivers, day laborers, and known criminals. Some came prepared, arriving with trucks to cart off their loot from the massive 50-acre property. Eyewitnesses recounted how greed sparked a fight among the looters over how to divide the spoils. In the chaos, one faction fled while the others remained inside the factory, unaware of their fate. The building was soon set ablaze, and those trapped inside faced an unspeakable horror.
As the fire engulfed the six-story building, the air grew thick with the stench of burning flesh. Some eight or nine survivors managed to escape by leaping from the roof, reporting that over 300 people were trapped inside, most of whom were feared dead. The fire raged on for 45 hours, yet the Bangladesh Fire Service deemed any rescue attempt too risky. A month later, the ruins still stand—silent, scorched, and untouched. No official rescue efforts have been made.
Even more disturbing, a local BNP leader later told reporters that they didn’t want the fire to become public knowledge, fearing it would tarnish Bangladesh’s industrial reputation. Families of the missing gathered at the factory, desperate for answers, only to be driven away by those intent on “protecting the image” of the country. In hushed voices, some relatives shared that they were forbidden from mourning aloud, as the authorities had labelled their loved ones criminals. It was claimed that those who perished had looted the factory and, therefore, deserved no sympathy.
As the truth unfolds, it’s clear that this so-called revolution was nothing more than a mob’s march to ruin. Yet, the question remains: how long can the truth be buried before it forces its way to the surface?
সব সত্য সামনে আসবে একদিন
আপনার লেখা আরো ব্যাপক করা যায় কি?
এটাই সত্য-কেউ আসেনি ১৭৪ জনের খবর নিতে