ড. মুহাম্মদ ইউনূসের ‘মাস্টারমাইন্ড’ মাহফুজ আলম (আবদুল্লাহ) ফেসবুক পেজের কভারে রিসেট বাটন পুশ করে পাকিস্তানের বাঙালি প্রতিষ্ঠাপুরুষদের ছবি দিয়ে ‘প্ল্যান ম্যাটিকুলাস’-এর দ্বিতীয় ফেজের শুরুর আভাস দিয়েছে!
ড. ইউনূসের বিশেষ সহকারী নিশ্চয় পাকিস্তানীদের ‘সেক্যুলার পাকিস্তান’ ‘মোডারেট মুসলিম পাকিস্তান’ ‘নয়া পাকিস্তানি’ এই ধরণের আর্টিকেল আর ব্লগপোস্ট পড়ে ‘জেন-জি’র রাজনীতি ঠিক করে দিচ্ছে!
ফেসবুক কভারে শেরে বাংলা একে ফজলুল হক, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী, আবুল হাশিম এবং মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী’র ছবি মাঝে যোগেন্দ্রনাথ মণ্ডলের ছবি ব্যবহার করেছেন। বাংলাদেশের আমজনতার কাছে যোগেন্দ্রনাথ মণ্ডল অনেকটা বিস্মৃত নাম। কিন্তু পাকিস্তান এখনো ‘সেক্যুলার পাকিস্তান’ ‘মোডারেট মুসলিম পাকিস্তান’-এর বিজ্ঞাপনে তাকে ব্যবহার করা হয়। [১]
পাকিস্তানি এস্টাব্লিশমেন্ট একটা অল্ট্রানেটিভ রিয়ালিটি ব্যবহার করে যখন সেক্যুলার/মোডারেট সাজার প্রয়োজন হয়। এই ন্যারিটিভের শুরুটা হয় ভারত বিভাগের পর পাকিস্তান অধিরাজ্যের (Dominion of Pakistan) প্রথম বড়লাট (গভর্নর জেনারেল) মুহাম্মদ আলী জিন্নাহ পাকিস্তানের প্রথম প্রধানমন্ত্রী হিসাবে নবাবজাদা লিয়াকত আলি খান-কে নিয়োগ দেয়ার মাধ্যমে [২] (পদাধিকারবলে বাংলার প্রধানমন্ত্রী/মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে পাকিস্তানের প্রথম প্রধানমন্ত্রী হওয়ার কথা ছিল হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী’র)। এই মন্ত্রীসভার সদস্যদের ধর্মীয় পরিচয় তুলে ধরে পাকিস্তানের গণমাধ্যম এবং সোশ্যাল নেটওয়ার্ক থাকে সেক্যুলার মোডারেট মুসলিম পাকিস্তানের প্রাইড অফ পাকিস্তানের গল্প নিয়ে।
পাকিস্তানের বাবায়ে কওম (জাতির পিতা) [৯] ও প্রতিষ্ঠাতা মুহাম্মদ আলি জিন্নাহ ছিলেন ইসমাইলি শিয়া। [১০] কিন্তু, তার দাফন হয় সুন্নিমতে। পাকিস্তানের প্রথম পররাষ্ট্রমন্ত্রী আহমদিয়া সম্প্রদায়ের স্যার চৌধুরী মুহাম্মদ জাফরুল্লাহ খান; খাদ্য, কৃষি ও স্বাস্থ্য মন্ত্রী রাজা গজানফর আলী খান খোখর, শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রী ইবরাহিম ইসমাইল চুন্দ্রিগড় এবং প্রথম প্রতিরক্ষা সচিব মীর জাফরের বংশধর সাহেবজাদা সৈয়দ ইস্কান্দার আলি মির্জা (পাকিস্তানের প্রথম রাষ্ট্রপতি) ছিলেন শিয়া, অর্থ এবং পরিসংখ্যান সচিব স্যার ভিক্টর টার্নার ছিলেন খ্রিস্টধর্মের অনুসারী (পাকিস্তানের প্রথম ছাপানো রুপিতে তার সিগনেচার ছিল)। সংখ্যালঘু এবং নারী মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পাওয়া পাকিস্তানের প্রথম ফাস্টলেডি বেগম রা’না লিয়াকত আলি খান (প্রথম প্রধানমন্ত্রী লিয়াকত আলি খানের দ্বিতীয় স্ত্রী শীলা আইরিন প্যান্ট বিয়ের সময় ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন তার দাদা হিন্দু ছিলেন, যিনি পরে খ্রিস্টান ধর্মে ধর্মান্তরিত হন) এবং প্রথম আইন ও শ্রম মন্ত্রী, পাকিস্তানের মুখপত্র তফসিলি সম্প্রদায়ের যোগেন্দ্রনাথ মণ্ডল। তিনি পাকিস্তান গণপরিষদের অস্থায়ী সভাপতিও ছিলেন। [২] [৩] [৪] [৫]
এখন প্রশ্ন হলো, এমন সব পোর্টফোলিয়ও থাকার পরেও কেন পাকিস্তানের প্রথম আইনমন্ত্রীকে সেদেশের স্বাধীনতার কয়েক বছরের মধ্যে ভারতে চলে আসতে হল? কেন বা পরাধীন ভারতে বাঙালি নমঃশূদ্র সম্প্রদায়ের অন্যতম উজ্জ্বল প্রতিনিধিকে বরিশাল থেকে করাচীর ক্ষমতার অলিন্দ হয়ে পশ্চিমবাংলার বনগাঁয় রিফুজির জীবন কাটাতে হলো?
১৯০৪ সালের ২৯ জানুয়ারি অবিভক্ত ভারতের বরিশাল জেলায় জন্মান যোগেন্দ্রনাথ। পাকিস্তানের প্রতিষ্ঠাপুরুষদের অন্যতম ছিলেন তিনি। বাংলার নমঃশূদ্র সম্প্রদায়ের উত্থানে বর্ণহিন্দুদের থেকে মুসলিমদের প্রতি বেশি আস্থা ছিল তাঁর। কিন্তু, কয়েক বছরের মধ্যেই স্বপ্নভঙ্গ হয় তাঁর।
১৯৩৭ সালে অবিভক্ত বাংলার প্রাদেশিক আইনসভায় নির্দল প্রার্থী হিসাবে লড়াই করে হারান কংগ্রেস প্রার্থীকে। নেতাজি ও শরৎচন্দ্র বসুর অনুগামী ছিলেন যোগেন্দ্রনাথ। ১৯৪০ সালে নেতাজিকে কংগ্রেস থেকে বহিষ্কারের পর কংগ্রেস ছেড়ে মুসলিম লিগে যোগ দেন তিনি। সোহরাওয়ার্দী মন্ত্রীসভার সদস্য হন যোগেন্দ্রনাথ। তখনই বাবাসাহেব আম্বেদকরের সঙ্গে হাত মিলিয়ে দলিত ফেডারেশনের বাংলা শাখা খোলেন তিনি। ১৯৪৬ সালে সাম্প্রদায়িক হিংসা শুরু হলে নমঃশূদ্র সম্প্রদায়কে তাতে জড়িয়ে পড়তে বারণ করেন তিনি। তাঁর দাবি ছিল, কংগ্রেস ও মুসলিম লিগের মধ্যে বিবাদে বোড়ে হতে পারে নমঃশূদ্র সম্প্রদায়। [৪]
তাঁর দৃষ্টিতে কংগ্রেস ছিল শুধুমাত্র হিন্দু সম্প্রদায়ের সংগঠন। তিনি নিজেকে ‘হিন্দু’ মনে না করলেও নিজেকে তফসিলি সম্প্রদায়ের সদস্য হিসেবে এ শ্রেণির উন্নয়নে তাঁর যথাসাধ্য চেষ্টা করেন। পশ্চিমবঙ্গের বর্ণহিন্দুদের বিবেচনায়, তার কারণেই পূর্ব বাংলা পূর্ব পাকিস্তান হয়েছিল। যে জন্য তারা যোগেন্দ্রনাথকে বলতেন ‘যোগেন আলী মোল্লা’। [৬] ভারত ভাগের পর যোগেন্দ্রনাথ মণ্ডল পাকিস্তানেই বাস করার সিদ্ধান্ত নেন। সমাজের একেবারে পিছিয়ে পড়া শ্রেণির প্রতিনিধিত্ব করতেন তিনি। [৪]
১৯৪৭ সালে দেশভাগের পর পাকিস্তানের প্রথম আইনসভার ৬৯ জন সদস্যের একজন ছিলেন যোগেন্দ্রনাথ। সেই আইনসভার অস্থায়ী চেয়ারম্যানও নির্বাচিত হন তিনি। মুসলিম লীগের সংসদীয় বোর্ডেরও সদস্য হন। এর পর লিয়াকত আলি খানের মন্ত্রীসভায় দায়িত্ব পান তিনি। [৪]
১৯৪৮ সালে করাচীতে সংঘটিত সাম্প্রদায়িক দাঙ্গায় যোগেন্দ্রনাথ মণ্ডল মন্ত্রী হিসেবে তাঁর সম্প্রদায়কে নিরাপদ রাখার যথাসাধ্য চেষ্টা করেন। কিন্তু ১৯৫০ সালে পূর্ব বাংলায় সংঘটিত ধ্বংসাত্মক দাঙ্গার সময় কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হওয়া সত্ত্বেও তিনি সংখ্যালঘিষ্ঠদের রক্ষা করতে ব্যর্থ হন। এ পর্যায়ে এসে তিনি অনুধাবন করতে পারেন যে, তিনি মুসলিম লীগের নেতৃস্থানীয়দের বা সরকারের কাছ থেকে পাকিস্তান সৃষ্টির পূর্বে যেরূপ গুরুত্ব পেতেন সেরূপ আর পাচ্ছেন না।
১৯৫০ সালে পাকিস্তানি প্রশাসনের হিন্দুদের ওপর বৈষম্যের অভিযোগে মন্ত্রীসভা থেকে পদত্যাগ করেন তিনি। সেই ইস্তফায় তিনি লিখেছিলেন, হিন্দুদের বিতাড়ন করার এই নীতি পূর্ব পাকিস্তানে সাফল্যের কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছে। পাকিস্তানের দাবি পূরণ হলেও মুসলিমরা সন্তুষ্ট নয়। তাদের নিরাপত্তার অভাব এখনো কাটেনি। তাই তারা এখন হিন্দু মেধাকে দূরে সরিয়ে রাখতে চায়। যাতে পাকিস্তানের রাজনীতি, অর্থনীতি, সামাজিক জীবন যেন কোনও ভাবেই হিন্দুদের দ্বারা প্রভাবিত না হয়।’ (যোগেন্দ্রনাথ মণ্ডলের পুরো পদত্যাগপত্র গুগল করলেই পাবেন) [৭] [৮]
করাচী থেকে পালিয়ে ভারতে রাজনৈতিক আশ্রয় নেন। পশ্চিম বঙ্গের তৎকালীন ২৪ পরগনা জেলার বনগাঁয় বসবাস শুরু করেন তিনি। ১৯৬৮ সালের ৫ অক্টোবর সেখানেই মৃত্যু হয় তার। [৪]
পাকিস্তানের সুশীলদের কাছে, মোডারেট, লিবারেলদের কাছে জিন্নাহর ‘আধুনিক ইসলামী রাষ্ট্র’-এর বিজ্ঞাপনের মুখ স্যার চৌধুরী মুহাম্মদ জাফরুল্লাহ খান, স্যার ভিক্টর টার্নার, বেগম রা’না লিয়াকত আলি খান এবং যোগেন্দ্রনাথ মণ্ডল। তাদের মুখ দেখিয়ে বোঝাতে চায় জিন্নাহ প্রতিষ্ঠিত পাকিস্তানে সংখ্যাগুরু সুন্নি মুসলমানরা স্বাধীনভাবে বসবাস করবে এবং অন্যান্য সংখ্যালঘুদের স্বাধীনভাবে বসবাস করতে দেবে। থাকবে নেতৃত্বেও!
আসলেই কী বৈষম্যমুক্ত ছিল পাকিস্তানের নেতৃত্ব? মেধার স্থান ছিল? জিন্নাহ’র সেই পাকিস্তানের ‘আইডল’ মন্ত্রীসভায় কাশ্মীর নিয়ে আলোচনার সময় বাঙালি যোগেন্দ্রনাথ মণ্ডলকে বৈঠক থেকে বেরিয়ে যেতে বলা হয়েছিল। যেখানে তিনি কমনওয়েলথ ও কাশ্মীর বিষয়ক দ্বিতীয় মন্ত্রীয় মর্যাদায় অধিষ্ঠিত ছিলেন। [৪] শুধু ধর্মীয় পরিচয়ের জন্য – এটাই পাকিস্তান সরকারে সংখ্যালঘু প্রতিনিধিত্ব! শুধু বয়ানে-পোস্টারে! সেই শঠতার ব্যবহার এবার শুরু বাংলাদেশে।
শুধু যোগেন্দ্রনাথ মণ্ডল নয়, পাকিস্তানের বাঙালি প্রতিষ্ঠাপুরুষ শেরে বাংলা একে ফজলুল হক, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী, আবুল হাশিম এবং মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর ‘পাকিস্তান’ ছিল স্বপ্নভাঙা আখ্যান। তারা ব্যবহৃত হয়েছে পাকিস্তানের এস্টিব্লিশমেনটের কাছে। নিজেদের প্রতিষ্ঠা করা দেশে পেয়েছেন জুলুমের শিকার হওয়ার যন্ত্রণা। এই পাঁচ জননেতার রাজনীতির লক্ষ্যই ছিল বাঙালির জন্য অন্যায় অবিচার মুক্ত কল্যাণকর রাষ্ট্র গঠন – যেখানে ধর্মীয় পরিচয়ের নয়, মানুষ ‘মানুষ’ হিসাবে পরিচিত হবে। রাষ্ট্র শোষণ নয়, শোষিতের পক্ষে থাকবে। তথাকথিত এলিটদের হাতে রাষ্ট্র ক্ষমতা লাগাম নয়, রাষ্ট্র চালাবে সাধারণ মানুষ। পথ ভিন্ন ছিল, পন্থা ভিন্ন ছিল, কিন্তু গন্তব্য তো একটাই ছিল – বাঙালির স্বাধিকার। বিশ্বের বুকে হবে বাঙালির স্বাধীন আত্মপরিচয়।
এবার একটা প্রশ্ন করি। বলুন, দেখি এই পাঁচ অগ্রজের সেই রাষ্ট্র বাঙালিকে শেষমেশ, কে প্রতিষ্ঠা করে দিয়েছে?
শেরে বাংলা, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী, যোগেন্দ্রনাথ মণ্ডল, আবুল হাশিম এবং মাওলানা ভাসানীর সেই উত্তরসূরি নামটাই নিশ্চিহ্ন করার ‘প্ল্যান ম্যাটিকুলাস’ নিয়েই নেমেছে ‘মাস্টারমাইন্ড’ এবং মাস্টারমাইন্ডের মাস্টাররা। তারা বীরের জাতি বাঙালিকে দাবায়ে রাখতে চায়। আমাদের নায্যতাভিত্তিক সমাজ-কে ভেঙে জুলুমশাহী প্রতিষ্ঠা করে এ দেশকে চালাতে চায় সাম্রাজ্যবাদের খেলায় খুশি মত। এই অপতৎপরতা রুখতে পারে যে নাম। যে নামে আবারও বাঙালি সংগঠিত হতে পারে – সেই নামকে তারা মুছে তার উত্তরাধিকারীকে এদেশের সাধারণ মানুষের থেকে দূরে রাখতে চায়। এদের ভয় উত্তরাধিকারী নেতৃত্বে যার যা কিছু আছে তাই দিয়ে আবারও শত্রুর মোকাবিলায় ঝাঁপিয়ে পড়তে পারে বাঙালি।
আমার কথা আপনাদের বিশ্বাস করতে হবে না। আমার চিন্তায় আপনাকে চিন্তা করতে হবে না – একটু মিলিয়ে দেখেন, এরা মন্দিরে আগুন দিচ্ছে, প্রতিমা ভাঙছে, ধর্মীয় পরিচয়ে বাড়িঘর লুট করছে, ব্যবসাবাণিজ্য দখল করছে, চাকরি খাচ্ছে। এদের অত্যাচারে হিন্দুরা দেশ ছাড়ছে – কিন্তু এরা লোক দেখানো পূজার ছুটি বাড়িয়ে দিয়ে, ফেসবুকে সম্প্রতির ছবি দিয়ে চোখে ধুলো দিচ্ছে।
মর্নিং শোজ দ্য ডে! এই কয়েক দিনেই নিশ্চয় ধরতে পেরেছেন এই Mob (ভিড়) কতটা আন্তরিক এবং সৎ। কী তাদের লক্ষ্য? কী করতে চায় তারা? এরা অনুজের কৃত্তি মুছতে অগ্রজকে ব্যবহার করবে। উত্তরসূরির অবদান লুকাতে পূর্বসূরিকে ব্যবহার করবে। এদের ‘ইনক্লুসিভ সোসাইটি’ স্রেফ বয়ানে আর পোস্টারে গোঁজামিল দিয়ে অন্তঃসারশূন্য ‘মাকাল ফল’।
এখন দেখেন আপনারা যা ভালো বুঝেন।
#ATeam 20241034
তথ্যসূত্র:
[১] Our heroes | Dr Ramesh Kumar Vankwani | DAWN | https://www.thenews.com.pk/print/295633-our-heroes
[২] Liaquat Ali Khan government | Wikipedia | https://en.wikipedia.org/wiki/Liaquat_Ali_Khan_government
[৩] First Cabinet (1947) | History pak | https://historypak.com/first-cabinet-1947/
[৪] Jogendra Nath Mandal | Wikipedia | https://en.wikipedia.org/wiki/Jogendra_Nath_Mandal
[৫] My name is human | DAWN | https://www.dawn.com/news/1034535
[৬] বাংলা থেকে অম্বেডকরকে জিতিয়েছিলেন যোগেন্দ্রনাথ | আনন্দবাজার পত্রিকা অনলাইন | https://www.anandabazar.com/rabibashoriyo/he-had-always-fought-for-the-lower-cast-people-1.849720
[৭] ইস্তফা দিয়ে ভারতে চলে এসেছিলেন পাকিস্তানের প্রথম আইনমন্ত্রী যোগেন্দ্রনাথ মণ্ডল | Hindustan Times বাংলা | https://bangla.hindustantimes.com/bengal/kolkata/modi-recalled-pakistan-s-first-law-minister-in-loksabha-who-is-jogendranath-mondal-31580987708901.html
[৮] যোগেন্দ্রনাথ মণ্ডলের পদত্যাগপত্র | মুক্তমনা | https://blog.muktomona.com/2014/10/05/43038/
[৯] Muhammad Ali Jinnah – Father of Nation | Press Information Department (PID) Pakistan | https://pid.gov.pk/site/profile/1
[১০] Muhammad Ali Jinnah | Wikipedia | https://en.wikipedia.org/wiki/Muhammad_Ali_Jinnah
আরো জানতে চাইলে পড়ুন:
সোহরাওয়ার্দী বাঙালিদের জন্য একটি কল্যাণকর রাষ্ট্রের স্বপ্ন দেখেছিলেন যা বাস্তবায়িত হয়নি। এ বিষয়ে পড়তে পারেন Humayun Khan এর লেখা “Suhrawardy: Forgotten Prophet of Pakistan” বইটি।
যোগেন্দ্রনাথ মণ্ডলের পদত্যাগপত্র এবং জীবনের শেষ অধ্যায় নিয়ে বিস্তারিত পড়তে পারেন Christophe Jaffrelot-এর লেখা “The Pakistan Paradox: Instability and Resilience Book by ” বইতে, যেখানে তার রাজনৈতিক জীবনের নানা গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় তুলে ধরা হয়েছে।
Ayesha Jalal-এর “The Sole Spokesman: Jinnah, the Muslim League and the Demand for Pakistan” বইতে পাকিস্তানের প্রথম মন্ত্রীসভার সদস্যদের ধর্মীয় এবং সাম্প্রদায়িক পরিচয় নিয়ে বিভিন্ন দিক থেকে আলাপ করা হয়েছে।