দৃষ্টিসীমার সংকীর্ণতায় সমন্বয়কদের ভবিষ্যৎ

মস্তিষ্কের সীমাবদ্ধতা

আফ্রিকার দেশ কঙ্গো’র (কঙ্গো প্রজাতন্ত্র বা DRC) উত্তরে অবস্থিত বিশাল ইতুরি (Ituri) রেইন ফরেস্টের গভীরে ‘ব্যাম্বুতি (Bambuti)’রা বসবাস করে, যারা মূলত ‘Hunter‑Gatherers’ অর্থাৎ জঙ্গল থেকে খাদ্য ও বনজ সম্পদ সংগ্রহ করে জীবিকা নির্বাহে অভ্যস্ত। তারা আফ্রিকার পিগমি (Pygmies) জাতির সবচেয়ে ছোট গোষ্ঠী, গড় উচ্চতা ৪ ফুট ৬ ইঞ্চির নিচে। তারা সম্ভবত এই এলাকার আদি বাসিন্দা। প্রত্নতাত্ত্বিক প্রমাণের অভাব রয়েছে, তবে প্রথম দিকের মিশরীয় রেকর্ড দেখায় যে ব্যাম্বুতিরা প্রায় ৪,৫০০ বছর আগে একই এলাকায় বাস করে।

প্রায় ৭০ হাজার বর্গকিলোমিটারব্যপী বিস্তৃত এই বনাঞ্চল এতই ঘন যে সেখানে গাছপালার জন্য সাধারণত ১০-১৫ ফুটের বেশি দূরে কিছু দেখার সুযোগ থাকে না। তাই প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে তাদের দৃষ্টির সীমানা এই অল্প পরিসরেই সীমাবদ্ধ থাকে।
১৯৫০ থেকে ৬০-এর দশকের দিকে ব্রিটিশ-আমেরিকান নৃবিজ্ঞানী কলিন টার্নবুল ইতুরি’তে গিয়ে এই ব্যাম্বুতি পিগমিদের জীবনযাত্রা নিয়ে গবেষণা করেন। তিনি কেঙ্গা নামে এক তরুণ পিগমিকে তার সহকারী হিসেবে নিয়োগ দেন। একদিন টার্নবুলের সাথে কেঙ্গা যখন বনের কিনারায় পৌঁছায়, দূরের পাহাড় দেখে কেঙ্গা অবাক হয়ে প্রশ্ন করে, “মেঘগুলো মাটিতে কেন নেমে গেছে?”

আরেকবার তারা একটি খোলা জায়গায় যায়, যেখানে দূরে কিছু মহিষ চারণ করছিল। কেঙ্গা সেগুলোকে দেখে পোকা মনে করে এবং টার্নবুলকে জিজ্ঞেস করে, “এগুলো কী পোকা?” দূরের জিনিস সম্পর্কে কোনো অভিজ্ঞতা না থাকায় কেঙ্গার মস্তিষ্ক পারস্পেক্টিভ থেকে দূরত্বের মাপ নির্ধারণের প্রক্রিয়াকরণ গড়ে তুলতে পারেনি।

টার্নবুল তাকে মহিষগুলোর কাছে নিয়ে গিয়ে বুঝিয়ে দেন যে এগুলো আসলে বড় প্রাণী, দূরে থাকার জন্য ছোট দেখাচ্ছে। বিস্মিত কেঙ্গা তখন বলে, “কোন জাদু দিয়ে তুমি পোকাকে মহিষ বানালে?” (সূত্র: কলিন টার্নবুলের বই ‘দ্য ফরেস্ট পিপল’, ১৯৬১ সাল)

এই ঘটনাগুলি থেকে বোঝা যায় যে, যারা সারা জীবন ছোট পরিসরের মধ্যে জীবনযাপন করে তাদের মস্তিষ্কে পরিপ্রেক্ষণ (perspective) ও দূরত্বের নিত্যতা (constancies) স্বাভাবিকভাবে বিকাশ লাভ করে না।

এই অবস্থা হয়েছে রাষ্ট্রক্ষমতায় থাকা বৈষম্যের মেধাবী আর এনজিও’র সুশীলদের। এই প্যারাসাইটরা নির্দিষ্ট একটা গণ্ডির বাইরে দেখতে পায় না। চোখের সামনে বিগ পিকচার থাকার পরেও এরা পুরোটা বুঝতে পারছে না।

টিকে থাকতে হলে জানতে হবে

জামায়াত কে বাদ দিলে বাংলাদেশে যত রাজনীতি আছে, সবই মুক্তিযুদ্ধের ওপর দাঁড়িয়ে। মাওলানা ভাসানী থেকে জিয়াউর রহমান, কর্নেল তাহের থেকে সিরাজ শিকদার — মুক্তিযুদ্ধ বাদ দিলে কেউই কিংবদন্তি থাকেন না।

আওয়ামী লীগ ব্যাপকভাবে জড়িত দেখে এরা মুক্তিযুদ্ধ মুছতে বসেছে! শিশু উপদেষ্টাদের সাথে সাথে বুড়রাও শিশুতোষ কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়েছে। কিন্তু এরা বুঝতে পারছে না তাদের টিকিয়ে রাখতে পারে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা এবং বঙ্গবন্ধুর আদর্শ।

ক্ষমতায় এসেই বৈষম্যের মেধাবী, এনজিও’র সুশীলরা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী থেকে শুরু করে সমর্থক-শুভাকাঙ্ক্ষীদের উপর দমনপীড়ন শুরু করেছে! বাদ পড়ছে না মুক্তিযুদ্ধের চেতনা এবং বঙ্গবন্ধুর আদর্শে বিশ্বাসীরাও – গড়পরতা সবাইকে হত্যা মামলার আসামী করে যারা আসলেই ক্ষতিগ্রস্ত, যারা ভিকটিম, যাদের স্বজন হারিয়েছে তাদের ন্যায়বিচার পাওয়ার অধিকার খর্ব করছে।

ভোটের হিসাব কী বলে?

বাংলাদেশে সংসদীয় গণতন্ত্রে ১৯৯১ সালের ভোটে আওয়ামী লীগ পেয়েছিলো ৩০.০৮ শতাংশ ভোট। ১৯৯৬ সালে ৩৭.৪৪ শতাংশ, ২০০১ সালে ৪০.২১ শতাংশ। আর ২০০৮ সালে ৪৮.০৪ শতাংশ। চার ভোটের ফলাফলের গড় ৩৮.৯৪ শতাংশ। অর্থাৎ বাংলাদেশের একটা বড় ভোট ব্যাংক রয়েছে আওয়ামী লীগের। [১] [২]

শিশু উপদেষ্টা আরবৃদ্ধ উপদেষ্টারা উঠে পড়েছে লেগেছে এদের উপরেই। তারা কী ভেবেছে? ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ’কে ‘সাইজ’ করতে পারলে – আওয়ামী লীগে বিরোধী শক্তি ক্ষমতায় এসে তাদের সকল ফরমান বৈধ করে দিবে? দায়মুক্তি দিয়ে পুনর্বাসন করবে?

ফিল্ডমার্শাল মোহাম্মদ আইয়ুব খান থেকে শুরু করে মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমান বীর উত্তম, লেফটেন্যান্ট জেনারেল হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ – এরা কিন্তু সেই ঝুঁকি নেই নাই।

তথাকথিত লৌহমানব আইয়ুব খান দল গড়ার প্যারায় যায়নি। মুসলিম লীগকে ভাগ করে নিজে একটি অংশের নেতা হয়েছিলেন। জিয়া এবং এরশাদ আইয়ুব খানের পদাঙ্ক অনুসরণ করে ক্ষমতা গ্রহণ করলেও সামরিক ও গোয়েন্দা শক্তিসহ রাষ্ট্রের সব ধরনের ক্ষমতা ও সম্পদ ব্যবহারের মাধ্যমে নিজেরা দল গঠন করে নিজেদের ক্ষমতা গ্রহণ ও শাসন আইনসিদ্ধ করেন।

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সমন্বয়কদের হাতে দুইটা অপশন: ১. কোন একটা দলকে দখল করা, ২. নিজেদের রাজনৈতিক দল গঠন। এরা সম্ভবত দ্বিতীয় অপশনে যাচ্ছে। ইতিমধ্যে সেই কার্যক্রমের ইংগিত পাওয়া গেছে।

বাঁধার নাম বিএনপি

বর্তমানে ক্ষমতাসীন মব সমন্বয়ক ও তাদের গডফাদারদের দলগঠনে সব চেয়ে বড় বাঁধার নাম বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। সেই ১৯৭৮ সালের পয়লা সেপ্টেম্বর থেকে বিএনপি’র প্রতিষ্ঠা জিয়ার ‘জাতীয়তাবাদী’ ব্যানার হয়ে উঠে আওয়ামী লীগ বিরোধী বিভিন্ন ঘরনা ও মতাদর্শের নেতা, ব্যবসায়ী, সামরিক-বেসামরিক কর্মকর্তা ও রাজনৈতিক গ্রুপের প্ল্যাটফর্ম। তাঁদের একতার একটাই ভিত্তি ছিল, তারা সবাই ছিলেন আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে এককাট্টা। তাদের একটা নির্দিষ্ট দর্শন ও কর্মসূচীর চেয়ে তাঁর কাছে বেশি গুরুত্বপূর্ণ ছিল ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের পাল্টা একটা বড়সড় মঞ্চ তৈরী করা। (সূত্র: মহিউদ্দিন আহমদের বই ‘বিএনপি সময়-অসময়’, ২০১৬ সাল) অর্ধশতাব্দীর কাছাকাছি এসেও সেই প্ল্যাটফর্ম টিকে আছে। ১৯৯১ সালে ৩০.৮১ শতাংশ, ১৯৯৬ সালে ৩৩.৬১ শতাংশ, ২০০১ সালে ৪০.৮৬ শতাংশ এবং ২০০৮ সালের নির্বাচনে ৩২.৫০ শতাংশ [১] [২] ভোট নিয়ে এন্টি-আওয়ামী লীগ ভোটের সর্বোচ্চ ভোট শেয়ার বিএনপি কাছে।

গেল দেড় দশকে বিএনপিকে দুর্বল করে, নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা তো কম হয়নি। ২০১৪ সালে দশম সংসদ নির্বাচনে বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোট নির্বাচন বর্জন করে। বিএনপির ভোটারদের আকর্ষণ করার জন্য জিয়ার গঠন করা জোট ‘বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্ট (বিএনএফ)’-এর নামে নামকরণ করে একটা দলও ছিল। গেল নির্বচনে তো দেখা গেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন (বিএনএম), তৃণমূল বিএনপি ও বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি (বিএসপি) নামে তিন তিনটা দল ছিল – বিএনপির প্রথম সারির নেতা তো দূরের কথা ওয়ার্ড পর্যায়ের নেতাদেরও ঐ দলগুলোর উদ্যোক্তারা টানতে পারে নাই।

সমন্বয়কারীরা গরু নিয়ে যাবে আর ১৭ বছর জিয়া পরিবারের নেতৃত্বে টিকে থাকা দলটা ‘কোটা নয়, মেধা মেধা’ বলে ‘আওয়ামী লীগ বিরোধী’ ৩০.৮১% ভোট শেয়ার নিয়ে বৈষম্যদের মাঝে বিলীন হয়ে যাবে? কমনসেন্স কী বলে?

বিএনপি ব্রিদিং স্পেস পেয়ে গেছে। আইয়ুব খানের মুসলিম লীগ ভাগের মত, বিএনপিও বৈষম্যবিরোধীদের হাতে ভাগ হয়ে যাবে! আপতত দৃষ্টিতে, সেটার সম্ভাবনা একেবারেই শূন্য।

জামায়াতেও নেই আরাম

১৯৯১ সালের নির্বাচনে কাস্ট হওয়া মোট ভোটের ১২.১৩ শতাংশ পায় জামায়াত। এর পর ১৯৯৬ সালের নির্বাচনে বিতর্কিত এই রাজনৈতিক দলটির ভোট ৪ শতাংশ কমে ৮.৬১ শতাংশে দাঁড়ায়। ২০০১ সালের নির্বাচনে আরও ৪ শতাংশ কমে তাদের ভোট দাঁড়ায় ৪.২৮ শতাংশে। এর পর ২০০৮ সালের নির্বাচনে কাস্ট হওয়া মোট ভোটের ৪.৭০ শতাংশ পায় জামায়াত। [১] [২]
বৈষম্যরা জামাতের এ-দল, বি-দল কিংবা প্রক্সি হলেও পরবর্তী সরকার গঠন করার মত ভোট নাই। দেশের ২০ থেকে ৩০ শতাংশ সুইং ভোটের সব পেলেও সরকার গঠন করার মত যথেষ্ট হবে না।

পাতানো নির্বাচন করে ক্ষমতায় টিকে থাকবে?

এটাও প্রায় অসম্ভব নয়, কঠিন এদের জন্য। করণ, ভোটের মূল দায়িত্বে যারা থাকা পুলিশ, আনসার আর শিক্ষকদের সাথে যে মব জাস্টিস হয়েছে তা তারা ভুলে যাবেন? পুলিশ পুলিশের হত্যাকারীদের ‘দায়মুক্তি’ দেয়া মবদের জন্য ভোট কাটবে? শিক্ষার্থীদের হাতে অপমান অপদস্থ শিক্ষকেরা মবদের পক্ষে দাঁড়াবে? গরীব আনসাররা তাদের সাথে যে ব্যবহার করা হয়েছে, তা কোন জাদুর বলে ভুলে যাবে?

শূন্য থেকে শুরুর জটিলতা

২০১০ সালে টমাস থোয়াইটস নামে একজন ব্যক্তি সিদ্ধান্ত নেন যে তিনি একদম শূন্য থেকে একটি টোস্টার তৈরি করবেন। এই অভিজ্ঞতা তিনি পরবর্তীতে “The Toaster Project” নামক বইতে তুলে ধরেন। প্রথমেই, থোয়াইটস বাজার থেকে একটি সস্তা টোস্টার কিনে সেটি খুলে টুকরো টুকরো করে ফেলেন। তিনি ভেবেছিলেন, টোস্টার বানানো সহজ হবে, কিন্তু টোস্টার খুলতেই দেখতে পান ভেতরে প্রায় ৪০০-এরও বেশি উপাদান ছড়িয়ে আছে। ১০০ টির বেশি ভিন্ন ভিন্ন উপাদান রয়েছে, যার মধ্যে প্রধান উপাদান ছিল প্লাস্টিক, নিকেল এবং ইস্পাত।

প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে থোয়াইটস ইস্পাত তৈরি করতে চান, আর এর জন্য তার দরকার লোহার আকরিক। তাই তিনি একটি লোহার খনিতে যান এবং খনির কর্মীদের কাছে কিছু আকরিক দেয়ার জন্য অনুরোধ করেন। আশ্চর্যজনকভাবে তারা তাকে সাহায্য করতে রাজি হয়। কিন্তু, যখন প্লাস্টিকের কেস তৈরি করতে তেলের প্রয়োজন হয়, তখন তেল কোম্পানিকে অনুরোধ জানালে তারা তা সরাসরি প্রত্যাখ্যান করে। পরে, বিকল্প হিসেবে, বাড়িতে থাকা বিভিন্ন প্লাস্টিকের স্ক্র্যাপ গলিয়ে টোস্টারের কেস তৈরি করেন। তবে পুরো প্রক্রিয়াটি ছিল অত্যন্ত জটিল এবং শেষমেশ তার তৈরি টোস্টারটি দেখতে গলে যাওয়া কেকের মতো হয়েছিল।

এই অভিজ্ঞতা থেকে থোয়াইটস উপলব্ধি করেন যে, একদম শূন্য থেকে কিছু বানানোর চিন্তা সহজ বা বাস্তবসম্মত নয়।
টমাস থোয়াইটস হার মেনে নিলেও বৈষম্যরা মানে নাই। শূন্য থেকে কিছু একটা বানানোর চিন্তা থেকে অলরেডী ভজঘট পাকিয়ে ফেলেছে। সেটা কে ঢাকার জন্য আরেকটা ইস্যু দাঁড় করতে গিয়ে আবার ভজঘট করছে – এভাবে আর যাই হোক রাষ্ট্র সংষ্কর তো দূরে কথা, রুটিংওয়ার্কের জন্যও স্ট্র্যাগল করতে হয়।

বিগ পিকচারটা কী?

বৈষম্যরা দূরদৃষ্টির অভাবে যেটা দেখতে পারছে না সেটা হলো তাদের টিকে থাকার জন্য একমাত্র অবলম্বন রয়েছে আওয়ামী লীগ এবং আওয়ামী লীগের ভোট ব্যাংক।

বর্তমান আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব হয় জেলে, না হলে আত্মগোপনে। নেতৃত্বের দৃশ্যমান ফাংশন নেই। লিডারশিপের এই সংকটে আওয়ামী লীগের তৃণমূলের নেতাকর্মী, সমর্থক-শুভাকাঙ্ক্ষীদের উপর নির্যাতন না চালিয়ে নেতৃত্বের শূন্যতা পূরণ করতে পারলে এই ভোট শেয়ারটা বৈষম্যদের হয়ে যেত।

আর এটা কঠিনও ছিল না। মীমাংসিত বিষয়গুলো নিয়ে অহেতুক বিতর্ক না তুলে, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা আর বঙ্গবন্ধুর আদর্শে নিয়ে গত তিন মেয়াদে ক্ষমতায় থাকা সরকারের গ্যাপগুলো নিয়ে কাজ করলেই হত। পূর্ববর্তী সরকারে থাকা কর্তাব্যক্তিদের চেয়ে তার অনেক ক্যাপাবল সেটা বোঝানোর তো অনেক সুযোগ ছিল। আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে নেতাদের সাথে তৃণমূলের কর্মীদের যে দূরত্ব ছিল তা ঘোচাতে পারলে ৩৯ শতাংশ ভোট আর সুইং ভোটারদের অর্ধেক ভোট টানতে পারলে লম্বা সময়ের জন্য টিকে যেত।

কিন্তু এরা কি করছে? ৩৯ শতাংশের সাথে জুলুম শুরু করেছে।

এদের পেছনে থাকা ভিড় লাখো মানুষ থেকে শ’য়ে নেমে এসেছে। গরু খাইয়ে লোক জড়ো করতে হয়। এরপরেও দৃষ্টির সীমাবদ্ধতার জন্য এদের লক্ষ্য রাষ্ট্রপতি আর ভগ্নীপতি’র কে বিদায় করে, আওয়ামী লীগ বিরোধীদের যে মাঠে এতো এতো প্লেয়ার পজিশন দখল করে বসে আছে, সেখানেই খেলতে যাওয়ার – ব্লু ওশান ছেড়ে, রেড ওশান।

ফলাফল কী?

অপ্রয়োজনীদের মাথার উপর কেউ হাত রাখে না। যতই প্ল্যান মেটিকুলাস করে ক্ষমতা দখল করুক, নিজেদের দৃষ্টির সীমাবদ্ধতার জন্য এরা জিয়া কিংবা এরশাদ হতে পারবে না, অপ্রাসঙ্গিকদের তালিকায় নাম লিখিয়ে, অপাংক্তেয় হয়ে বিদায় নিতে হবে।


ATeam 20241065


তথ্যসূত্র:
[১] সংখ্যানুপাতিক নির্বাচন নিয়ে বিএনপি জামায়াত ও অন্যান্য দলের যত হিসাব |
https://www.bbc.com/bengali/articles/c1e7p5w7lp2o

[২] পরিসংখ্যানে বাংলাদেশের তিন রাজনৈতিক দল- কার অবস্থান কি? | https://amarmp.com/blog/85

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *