প্রিয় ট্রাম্প ভাই,
তোমাকে সম্বোধনটা স্যার কিম্বা জনাব হতে পারতো। কিন্ত ইচ্ছে করেই ভাই বলে ডাকলাম। ভাই ডাকটা আমার দেশের মানুষের খুব প্রিয়৷ ভাই বাংলাদেশের দু’ একটি প্রধান সম্পর্কের একটি। ভাই মূলত সহোদর। এর পর যারা ভাই হন, তারা সহদরের কাছাকাছি আপন মানুষ। আপন মানে ততটাই আপন, যেন তাকে যেকোন বিপদের কথা বলা যায়। যে কোন কষ্টের কথা বলা, যেন তার কাছে ন্যূনতম সহায়তার নিশ্চয়তা আগে থেকে তৈরি থাকে। তোমাকে ভাই ডাকছি কারণ, তোমার কাছে সম্প্রতি সেই সহায়তার সম্ভাবনা পাচ্ছি। তোমার নির্বাচনের আগেই তুমি বাংলাদেশে চলা সাম্প্রতিক নির্যাতনের কথা বলেছ বিশ্ববাসীকে। যা এর আগে কোন বিশ্বনেতা প্রকাশ্যে বলেনি।
এরপরেও তুমি সম্প্রতি বাংলাদেশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টটি নিয়ে কথা বলেছো। সেটা হচ্ছে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত করার প্রসঙ্গ। তুমি কীভাবে এত অল্প সময়ে তথ্য পেলে আমি জানি না৷ কিন্তু, এই বিষয়টি বাংলাদেশ এখন এমন নাজুক অবস্থায় আছে যা বিস্তারিত বলতে গেলে লেখার উদ্দেশ্য ঘুরে যাবে। কারণ এখানে শুধু বাংলাদেশের বর্তমান প্রেক্ষাপট বলতে চাই। তবু গণমাধ্যম নিয়ে যদি এক লাইনে বলি, তাহলে বলতে হবে, বাংলাদেশের গত ৩ মাস ধরে যা ঘটছে গণমাধ্যমে তার ১০ ভাগও প্রকাশ হচ্ছে না। আর যে ১০ ভাগ হচ্ছে তাও সত্যের সাথে মিথ্যা মিশিয়ে। যদি ধুপ করে মরে না যাই, তাহলে আমিই তোমাকে বাংলাদেশের গণমাধ্যম নিয়ে আলাদা একটা লেখা পাঠাবো এই মাধ্যমে৷
যাই হোক, এবারের ভূমিধস জয়ে তোমাকে অভিনন্দন। আমার লেখার ধরন দেখে তোমার মনে হতে পারে আমি বুঝি ফান মুডে লিখছি। একটু আগে তুমি নিশ্চয়ই দেখেছো লিখলাম “যদি মরে না যাই তাহলে আবার লিখবো” মৃত্যু ব্যাপারটা খুব স্বাভাবিক ভঙ্গিতে বলছি। আসলেই তাই, মৃত্যু এখন আমাদের বাংলাদেশের জীবনের খুবই নিয়মিত ঘটনা। কে কখন মারা যাবে, তার কোন নিশ্চিয়তা নেই। কার ওপর কে হামলে পড়বে, কেউ জানে না। দেশের দূর গ্রাম থেকে শহর পর্যন্ত একই অবস্থা। স্কুলের শিশু থেকে শুরু করে নারী, বৃদ্ধ কারও জীবনের নূন্যতম নিরাপত্তা নেই৷
মুক্তিযুদ্ধের পর কখনও বাংলাদেশের মানুষের জীবনে এমন সময় আসেনি। প্রবীণ মানুষেরা বলেন মুক্তিযুদ্ধের সময় এরকম অবস্থা ছিল মানুষের। কিন্ত তখন একেবারে অজপাড়াগাঁগুলো নিরাপদ ছিল। যেখানে যোগাযোগের অভাবে যাওয়া যেতো না, সেখানে সন্ত্রাস পৌঁছাতো না। কিন্তু এখন কোন এলাকায় যোগাযোগের বাইরে নেই। দেশের যে কোন প্রান্ত থেকে যে কোন মানুষের একবেলায় রাজধানীতে আসতে পারেন। সুতরাং অশান্তি এবং সন্ত্রাসের আগুন জ্বলছে দেশময়।
কেন এমন হলো নিশ্চয়ই সেটা এখন তোমাকে বলার অপেক্ষা রাখে না। তবু লেখার ধারাবাহিকতা রক্ষায় আরেকবার বলি। ২০২৪ এর ৫ই আগস্ট আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন নির্বাচিত সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করেছে একটি গোষ্ঠী। এরও দেড় মাস আগে থেকে একটি মিথ্যা আন্দোলন আন্দোলন খেলা ছিল। যে খেলার ব্যবহার হয়েছে হাজার হাজার স্কুল কলেজের ছেলে মেয়ে। যাদের একত্র করেছে আরেকটি ভাড়াটে গোষ্ঠী। তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। প্রাণ যায় এরকম ঝুঁকি জেনেও স্কুলের ছেলে মেয়েদের আন্দোলন খেলায় নামায় তারা।
বিশ্ববিদ্যালয় গ্রুপের ছেলেরা পেছন থেকে রাস্তায় নৈরাজ্য করে। নিরাপত্তা কর্মীদের ওপর হামলা করতে থাকে। পুলিশ এক পর্যায়ে নিজের প্রাণ রক্ষায় গুলি করতে বাধ্য হয়। এতে প্রাণ যায় কিছু মানুষের। কিন্ত একজন আন্দোলনকারী নেতাও কখনও গুলির সামনে আসেনি৷ বিশ্ববিদ্যালয় গ্রুপের কৌশল ছিল প্রথমে শিশু ও নারীদের সামনে এগিয়ে পেছন থেকে নিরাপত্তা কর্মীদের ক্ষেপানো। যাতে তারা গুলি করে এবং শিশুরা মারা যায়। যেটা আন্তর্জাতিকভাবে প্রচার হয় সরকার শিশু হত্যাকারী। এর পর যেন সরকার আন্তর্জাতিক সমর্থন হারায়।
কৌশল আরও ছিল। আন্দোলনকারীদের ওপর যত গুলী হয়েছে এর সব যে পুলিশ করেছে তা নয়। এদের পক্ষ থেকেও খুব প্রশিক্ষিত হাতে গুলি ছোড়া হয়েছে। এরইমধ্যে বের হয়ে এসেছে, এমন সব গুলীর ব্যবহার হয়েছে এখানে, যে গুলী আমাদের আইন শৃঙ্ক্ষলা রক্ষা বাহিনী ব্যবহার করে না। নিহতদের শরীরে এমন সব ক্ষত পাওয়া গেছে যা চূড়ান্ত প্রশিক্ষিত আঘাত৷ কে কাকে কীভাবে কেন আঘাত করেছে তা জানতে আসলেই নিবিড় তদন্ত দরকার। যে পথটাই দিন দিন বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। কারণ প্রথম শহীদ বলা হয়, যে আবু সাঈদকে সেই সাঈদের দিকে যে পুলিশ সদস্য গুলি করেছে বলা হচ্ছে, সেই পুলিশ সদস্যকেও হত্যা করা হয়েছে।
এই যে পুলিশ সদস্যকে হত্যা করে তদন্তের পথ বন্ধ করা হলো এটা একটা কৌশলের উদাহরণ। আমি দায়িত্ব নিয়ে বলতে পারি ৫ ই আগস্ট পর্যন্ত পুলিশের যতগুলো গুলী হয়েছে, প্রত্যেকটির যুক্তি সঙ্গত কারণ আছে। আমরা সোস্যাল মিডিয়ার ছবিতে দেখেছি পুলিশ গুলী করছে। কিন্তু কীভাবে গুলী করার প্রক্ষাপট তৈরি হলো তা দেখিনি। সে ছবি আছে কোন কোন ক্ষেত্রে। কিন্তু সেটা প্রকাশ হয়নি। কারণ শুধু ছবি তোলার অপরাধে, কথিত আন্দোলনকারীদের হাতে খুন হয়েছে এমন উদাহরণও আছে।
মাঠে আসললেই কী হয়েছিল তা বলতে পারতো দায়িত্ব পালনরত পুলিশ সদস্যরা এবং আন্দোলনের কর্মীরা। কিন্তু সেই পুলিশদের অনেকেই মারা গেছে। আর আন্দোলনের কর্মীরা সেই সত্যি এখনই প্রকাশ করবে না। কারণ তারা ভাবছে আন্দোলনেরর সত্যি প্রকাশ হলে তো তারা প্রাণ বাঁচবে না। এই আন্দোলনে এরকম অনেকেই প্রাণের ভয়ে শেষ পর্যন্ত ছিল। তারা যখন বুঝেছে, যে তারা একটি জঙ্গিগোষ্ঠীর মিথ্যের মধ্যে পড়েছে তখন আর পেছানোর সুযোগ নেই। কারণ সরকার তখন তাদের প্রতিপক্ষ, তাই আরেকটি প্রতিপক্ষ বানানোর ঝুঁকি তারা নিতে চায়নি। তাই এরাই এখন সবচেয়ে বিপাকে আছে। এই বিপাক থেকে একসময় তারাই বহু ছবি প্রকাশ করবে। তবে এর জন্যে আরও অপেক্ষা করতে হবে। যাই হোক এদের কথা বলাও এই লেখার উদ্দেশ্য নয়। অন্য কোন সময় তাদের কথা বলা যাবে।
বলছিলাম জঙ্গিবাদের কথা। সারা পৃথিবীতে জঙ্গিবাদ অর্থ কোন একটি মত প্রতিষ্ঠায় চরমপন্থা নেয়া। তুমি নিশ্চয়ই বোঝ, এটা গণতন্ত্র বিরোধী। কারণ সেই মত তুমি মান বা না মান এর বিরুদ্ধে কিছু বলতে পারবে না। বললেই হত্যা। বাংলাদেশে এখন তথাকথিত বিপ্লবের মোড়কে সেই জঙ্গিবাদের চর্চা চলছে। এই জঙ্গিবাদীদের লক্ষ্য জোর করে তাদের মত করে ইসলামী ভাবধারা প্রতিষ্ঠা। তুমি নিশ্চয়ই জান ১৯৭১ এর মুক্তিযুদ্ধের মধ্যদিয়ে একটি ধর্মনিরপেক্ষ বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা হয়েছিল। পাকিস্তানি জঙ্গিবাদ পরাজিত হয়েছিল। সেই পরাজিত শক্তি প্রতিশোধের জিঘাংসা আজও ভোলেনি। আজ যে বিপ্লবের কথা বলা হচ্ছে, সেটা ৭১ এর সেই পরাজিত শক্তিরই বিস্তার।
সারা পৃথিবী আজ গণতন্ত্রের পক্ষে। ধর্মকে রাজনীতির বাইরে রাখতে চায় সবাই। কোন সভ্য মানুষ ধর্ম দিয়ে বিভেদ করতে চায় না। আমি জানি তুমিও সেই দলে। আওয়ামী লীগও সেই চেষ্টাই করছিল। ৭১ সালে যারা বাংলাদেশে সহিংসতা করেছিল আওয়ামী লীগ তাদের শাস্তি নিশ্চিত করেছে। এটাই ধর্মপন্থীদের প্রতিশোধ পরায়ন হয়ে ওঠার আরেকটি কারণ। তারা জানে যে গণতন্ত্র সামনে রেখে এই প্রতিশোধ নেয়া সম্ভব নয়। তাই এরকম একটি অগণতান্ত্রিক সময়ের জন্যে তারা অপেক্ষা করছিল। তাই পৃথিবীর কোথাও গণতান্ত্রিক সরকার বদলের যে পদ্ধতি জনপ্রিয় হয়নি সেই তত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতির জন্যে তারা মাথা কুটছিল। যে কারণে গণতান্ত্রিক নির্বাচনে অংশ নেয়া থেকে তারা নিজেদের বিরত রেখেছিল। তোমাকে প্রশ্ন করি, তুমি কী মানতে পার যে তোমার দেশে প্রতি ৫ বছর পর পর গণতন্ত্র বন্ধক দিয়ে নির্বাচন করতে হচ্ছে?
যাইহোক, অবশেষে ধর্মবাদীরা সেই কাঙ্ক্ষিত অন্তর্বর্তী সরকার পেয়েছে। যেটাকে তারা বলছে এটা বিপ্লব। সাধারণ মানুষ যে এই তথা কথিত বিপ্লব সমর্থন করেছে এমন নয়। আসলে কেউ কিছু বলার সুযোগ পায়নি। কারণ একটি সামাজিক সমস্যা সামনে এনে সেটার ওপর ভর করে তারা কিছু মানুষের প্রাণ নেয়। সেই দোষ চাপায় আওয়ামী লীগ সরকারের ওপর। অল্পবয়সী ছেলেদের মৃত্যু যে কোন মানুষকে আপ্লুত করে। যাদের হত্যাকারী মনে হয় তাদের ওপর মানুষ রুষ্ট হয়। এটা সবাই জানে। আর সেই সুযোগ নেয় জঙ্গিবাদের সমর্থকরা। যে কারণে ৫ বছর প্রস্তুতি নিয়ে ২ বছর ধরে নেটওয়ার্ক বানিয়ে চাকরির কোটা বিষয়ক আন্দোলনে নামে জঙ্গিরা। অদ্ভুদভাবে সরকার তাদের সব দাবি মেনে নিলেও তারা সহিংস হতে ছাড়েনি। কারণ ছাড়ার জন্যেতো তারা নামেনি।
সাধারণ মানুষের দৃষ্টিতে সমস্যা যখন প্রায় মিটে যাচ্ছে, ঠিক তখনই শেখ হাসিনার খুব একটি সাধারণ কথার ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে দেশটা নরককুণ্ডে পরিণত করে জঙ্গিরা। পুলিশকে বাধ্য করে গুলি চালাতে। এতে মানুষের দয়া পায়। বিপাকে পড়তে থাকে সরকার। সব কিছু এত দ্রুত ঘটছিল যে, সাধারণ মানুষ এত ভাবার সময় পায়নি। এর মধ্যে ভাড়াটে মিথ্যাবাদী বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের যে দলটি কাজ করছিল তারা একেবারে শিশুদের আন্দোলনের মাঠে নামিয়ে আনে। এটা একটা আন্তর্জাতিক অপরাধ জেনেও তার কাজটি করে৷ আর এই শিশুদের মৃত্যুর কথা ভেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে চলে যান। এখন কে আন্দোলনের মাস্টার মাইন্ড এনিয়ে অনেক তর্ক হচ্ছে। আর কেউ নয় এই আন্দোলন হয়েছে ধর্মভিত্তিক রাজনীতি পন্থীদের পরিকল্পনায় এবং অর্থে। বাকীরা ভাড়া খেটেছে৷ ঠিকঠাক প্রযুক্তি ব্যবহার করতে পারলে, কার টাকা কে নিয়েছে তা খুব সহজেই বের করে আনা সম্ভব।
প্রিয় ট্রাম্প ভাই, এই যে মিথ্যা বয়ানের ষড়যন্ত্র, এরমধ্যে ছিল তোমার দেশের সদ্য সাবেক বাইডেন সরকার। তোমার দেশের দূত পিটার হাস এই ধর্মপন্থী ষড়যন্ত্রীদের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক করেছে। ২০২৩ সালের ২৮ শে অক্টোবর জো বাইডেনের নাম করে মিয়ান আরেফি নামে একজন মিথ্যাবাদী সরকার বদলের চেষ্টা করেছিল। বলেছিল বাইডেন তাকে পাঠিয়েছে। সরকারের বিরুদ্ধে যাই করা হোক তার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র আছে। পরে সে পুলিশের হাতে ধরা পড়ে জেলেও গিয়েছিল। কিন্তু তাকে তোমার দেশের প্রশাসন কিছু বলেনি। কেউ তাকে প্রশ্ন করেনি, ক্ষমতায় যেতে যাদের বারবার মিথ্যা বলতে হয় তাদের সঙ্গে সে কেন?
তোমার প্রশাসন নিশ্চয়ই মিথ্যাবাদী মিয়ান আরেফিকে খুঁজে বের করবে। বাংলাদেশের ধর্মপন্থীদের সড়যন্ত্র নিয়ে নিশ্চয়ই আরও অনেক তথ্য পাবে। এর ভিত্তিতে আজকের বাংলাদেশের মিথ্যাবাদীদের ব্যাপারে সতর্ক হবে। ভাই ট্রাম্প, তোমাকে ইনিয়ে বিনিয়ে এত কথা বললাম কারণ এই সতর্কতা তোমার দরকার। তোমার দেশ বছর তিনেক আগে মানবাধিকার লঙ্ঘনের দায়ে বাংলাদেশের একটি নিয়মিত বাহিনীকে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল। অনিয়মের সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগ ভিসা নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল কিছু ব্যক্তির ওপর। আমার প্রশ্ন হচ্ছে এখন এই প্রমানিত মিথাবাদীদের কী হবে?
বাংলাদেশের সাম্প্রতিক জুলাই আগস্টের তাণ্ডবে কত মানুষ মারা গেলো? কারা মারা গেলো? কেন মারা গেলো? এর সুষ্ঠু তদন্ত দরকার? যারা আন্তর্জাতিক আইন না মেনে শিশুদের রাস্তায় ঝুঁকির মধ্যে ফেলে হত্যা করলো তাদের বিচার দরকার। বিশ্ব সভ্যতা রক্ষার জন্যে হলেও এটা জরুরি। এরই মধ্যে আন্তর্জাতিক আদালতে মামলা হয়েছে। আমি জানি বিচার পর্যন্ত যাওয়ার প্রক্রিয়া দীর্ঘ। ততদিনে এই ভাড়াটে মিথ্যাবাদীরা পালাবে। কিন্তু ভাবা দরকার, এদের মাথায় এবং মনে যে বিষ তা ছড়াবে যেখানে যাবে সেখানে। শান্তির বিশ্ব অস্থির করার সুযোগ কী তাদের দেয়া ঠিক হবে?
বিচার, প্রমাণ এসবতো পরে, কিন্তু প্রকাশ্যে শিশুদের প্রাণের ঝুঁকির মুখে টেনে আনার যে অপরাধ সেটিতো মিথ্যাবাদীরা করেছে প্রকাশ্যে। বিশ্বের কোন শিশু এদের কাছে নিরাপদ নয়। যখন তখন যেকোন দেশ এরা অশান্তির মুখে ফেলতে পারে। তাই সারা বিশ্বে এদের ব্যাপারে সতর্কতা জারির জন্যে বিচারের অপেক্ষা করলে খু্ব দেরি হয়ে যাবে। আপাতত যে শান্তির দেশটা যারা অশান্তির বানিয়েছে তারা এর চৌহদ্দির মধ্যেই থাক। ভাই ট্রাম্প, সারাবিশ্ব তোমার সহায়তায় নিরাপদ থাকুক। তুমিও নিরাপদ থাকো যে কোন মিথ্যাচার থেকে।
প্রিয় পাঠক, ট্রাম্পকে যে চিঠি লিখলাম আপনারাও নিশ্চয়ই বোঝেন এটি কোন চিঠি নয়। একটি লেখা মাত্র৷ কিন্ত আমি চাই, লেখাটি সত্যিকার অর্থেই একটা চিঠি হয়ে উঠুক আপনাদের সহায়তায়। জানি আমার ভাবনা অলীক। তবু যদি ভাবি, আপনাদের সহায়তায় যুক্তরাষ্ট্রের কোন পত্রিকায় এই চিঠি ছাপা হচ্ছে। তার পর সেটা পৌঁছে যাচ্ছে আমাদের ট্রাম্প ভাইয়ের কাছে খুব কী ভুল হবে? আমরা যারা বাংলাদেশে আছি শুধু তারাই জানি, এই দুঃসময়ে এরকম ছোট ছোট ফ্যান্টাসিই আমাদের বাঁচিয়ে রেখেছে।
ভীরু জমাদার
চাকরিজীবী
#ATeam 20241163