০৩রা ডিসেম্বর, ২০২৪। ভর সন্ধ্যায় প্রেসিডেন্ট বাইডেনের গোপন নম্বরের ফোনটা বেজে ওঠে।
বাংলাদেশ থেকে ড. ইউনূসের কণ্ঠ।
ইউনূস: গুড মর্নিং, মিঃ প্রেসিডেন্ট।
বাইডেন: আমার তো ইভিনিং, তুমি কাকে চাও?
ইউনূস: আপনাকে। আপনিই তো মিঃ প্রেসিডেন্ট।
বাইডেন: ও হ্যাঁ, তাইতো। আমিই তো প্রেসিডেন্ট। তা তুমি কে?
ইউনূস: স্যার, আমি ইউনূস।
বাইডেন: এমনভাবে বলছো যেন তোমাকে আমার চেনা উচিত। কিন্তু চিনতে পারছি না। জানো নিশ্চয়ই আমার একটু আলজহেইমার আছে।
ইউনূস: স্যার, ওই যে কয়েকদিন আগে আমেরিকায় গেলাম। আপনার সাথে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে বৈঠক করলাম। আপনি আমার মাথায় হাত বুলিয়ে দিলেন।
বাইডেন: নাহ, ধরতে পারছি না। আমি তো কতোজনের সাথেই দাঁড়িয়ে কথা বলি। মাথায় হাত বুলাই।
ইউনূস: স্যার, আমি হিলারী ক্লিটনের বান্ধবী। আপনাদের দলে অল্প-বিস্তর ফান্ডটান্ড করি। ক্লিনটন ফাউন্ডেশনে ওই যে মেটিকুলাস প্ল্যানের কথা বললাম, আমিই সে স্যার। আমি সেই ইউনূস।
বাইডেন: ওহ শিট! এবার ধরতে পেরেছি। তুমি তো সেই মেটিকুলাস ম্যান। তা কেমন চলছে তোমার রিসেট ওয়ার্ক?
ইউনূস: তা একরকম চলছে স্যার। আই অ্যাম দ্য সংস্কার ম্যান। সংস্কারের মূল সূত্র হলো ভেঙেচুরে সব আবার গড়তে হবে। কাজ অর্ধেক শেষ।
বাইডেন: গুড গুড। এখন বাকি অর্ধেকে মন দাও।
ইউনূস: বাকি অর্ধেকেই তো সমস্যা, স্যার। অর্ধেক মানে ভাঙার কাজটা যতো সহজে করেছি – আপনাকে কী বলবো স্যার, ভাঙচুরে মানুষের যে কী উৎসাহ আপনি চোখে না দেখলে বিশ্বাস করতে পারবেন না, আর আগুন যে বস আবিষ্কার করে গেছেন, তাকে নমস্কার। ভাঙতে ভাঙতে যখন ক্লান্ত হয়ে যাই, তখন আগুন মেরে দেই, আমি রেস্ট নেই, আগুনই কাজটা করে দেয়।
বাইডেন: গুড গুড।
ইউনূস: জ্বী, স্যার। আপনার দোয়া। কিন্তু বাকি অর্ধেক মানে গড়ার কাজটা আর করতে পারছি না স্যার। সবাই খালি লুটপাটে ব্যস্ত। বললে বিশ্বাস করবেন না। এক বুইড়া খাটাশ উপদেষ্টা নিজের ছেলের সাবেক বউকে সুগার খাওয়াইতে চায়। খাওয়াইছেও মে বি। বলে জায়েজ আছে। বাকিগুলাও আছে গলাবাজির উপর। কিছু আছে আবার যুদ্ধ লাগাইতে চায়। সংস্কারের গড়ার কাজ কেউ করতে চায় না, স্যার।
বাইডেন: আচ্ছা, একটু ধরো। আমি বাথরুম হয়ে আসি।
ইউনূস: জ্বী আচ্ছা, স্যার।
বাইডেন ফোন ওয়েটিংয়ে রেখে বাথরুমে যায়। কিন্তু এরপর আর ফিরে না। ভুলেই গেছে যে ফোনে কেউ ছিলো। বেশ কিছুক্ষণ পরে এক কর্মচারী ফোন ওয়েটিং দেখে বাইডেনকে ডেকে নিয়ে আসে।
বাইডেন: হ্যালো, হু ইজ দিস?
ইউনূস: স্যার, আমি ইউনূস। মেটিকুলাস ইউনূস।
বাইডেন: ও হ্যাঁ হ্যাঁ। তা কী চাও?
ইউনূস: স্যার, ওই যে সংস্কারের কথা শুনতে চেয়েছিলেন।
বাইডেন: কখন? আচ্ছা বাদ দাও। কাজের কথায় আসো। শর্টকাটে বলো, কী চাও।
ইউনূস: স্যার, সাধারণ ক্ষমা চাই। আপনি হান্টার স্যারকে যেভাবে সব মামলা থেকে মুক্তি দিয়েছেন, আমাকেও ওরকম কিছু একটা নির্বাহী আদেশ দিয়ে দেন স্যার।
বাইডেন: তুমি কে হে? তুমি কি আমার ছেলে?
ইউনূস: স্যার, আপনি আমার বাপ। আমি আপনার ধর্ম ছেলে।
বাইডেন: ধর্মছেলে কী হে? তুমি তো জানতাম নাস্তিক, ধর্মটর্ম মানো না।
ইউনূস: জ্বী, স্যার। না, স্যার। মানে আমি নাস্তিকও না। মনে করেন যখন যেটায় সুবিধা, তখন আমি সেটায় থাকি। ধর্মেও আছি, জিরাফেও আছি।
বাইডেন: হোয়াট ইজ জিরাফ?
ইউনূস: স্যার, মানে বলছিলাম আমাকে একটু সাধারণ ক্ষমার বিল পাস করেন। টাকা পয়সা কোনো ব্যাপার না। ঈশ্বর আমাকে একটি আলাদীনের চেরাগ ধরিয়ে দিয়েছেন। আমি ব্ল্যাঙ্ক চেক দেবো, স্যার। আপনি ডলারের অঙ্ক বসিয়ে নিবেন।
বাইডেন: আচ্ছা, আচ্ছা, মামলা নম্বর বলো। কোন স্টেটের কেস?
ইউনূস: স্যার, কেস তো বাংলাদেশের। আমি সেখানকার সরকার। কিন্তু আমেরিকারও নাগরিক। সো, টেকনিক্যালিটি ইজ নো প্রবলেম।
বাইডেন: নাহ, হবে না। কমপ্লিকেটেড মনে হচ্ছে।
ইউনূস: স্যার, ডলারের অঙ্ক আরেকটু বাড়াইয়া দিমু নে।
বাইডেন: আচ্ছা, আচ্ছা, মামলা নম্বর বলো।
ইউনূস: স্যার, এই মুহূর্তে তো কোনো মামলা নাই। আমার নামে যা মামলা ছিলো, সব ১ দিনেই বাতিল করিয়েছি। তবে ভবিষ্যতে মামলা হবে। স্যার, কে জানতো বাংলাদেশের সংবিধানে এমন সব খতরনাক ধারা আছে। নির্বাচন ছাড়া ক্ষমতায় বসলেই সরাসরি ফাঁসি। আমাকে ফাঁসি দিয়ে দেবে, স্যার। আমাকে বাঁচান, স্যার।
বাইডেন: এক কাজ করো, এখন নিজেই নিজের নামে মামলা দাও। আদালতে তোলো। এরপর আমি সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করি। জানো তো, এক অপরাধে ২ বার বিচার হয় না।
ইউনূস: স্যার, এখন তো মামলা দেয়া যাবে না। লোকজন হাসবে। আমাদের সব অপরাধেরই ইনডেমনিটি আইন পাস করেছি।
বাইডেন: তাহলে তো হয়েই গেলো। ইনডেমনিটি মানে আর বিচার হবে না।
ইউনূস: স্যার, বাংলাদেশের ইনডেমনিটি আইনের কোনো ভ্যালু নাই, স্যার। এক কলমের খোঁচায় সব বাতিল করে ফাঁসিতে ঝুলাবে। আমাকে বাঁচান, স্যার। আমাদের একটা সিস্টেম আছে আগাম জামিন। আপনি সেভাবে মামলা হওয়ার আগেই আমাকে আগাম অব্যাহতির আদেশ দেন স্যার। আমেরিকার আদেশ কেউ অমান্য করতে পারবে না, স্যার।
বাইডেন: তুমি স্যার স্যার করা কমাও, আমি বিষয়টা দেখতেছি। তবে খরচাপাতি একটু বেশি লাগবে। বুঝোই তো!
ইউনূস: মানি ইজ নো প্রবলেম, স্যার। আমার হাতে আলাদীনের জাদুর প্রদীপ, স্যার।
#ATeam 20241208